বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:মুজিব শতবর্ষে ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে ফরিদপুর জেলার ৯টি থানায় গৃহহীন ও হতদরিদ্র ৯টি পরিবার পাচ্ছে মাথা গোঁজার ঠাঁই। ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার লোকনাথ গ্রামের বাসিন্দা স্বামী পরিত্যক্তা জামিরন বেগম (৪৫) পাচ্ছেন মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মাথা গোঁজার ঠাঁই। জানা যায়, জামিরন বেগমের বিয়ের কয়েক বছর পর স্বামী আফসার শেখ তার খোঁজ খবর নেয়া বন্ধ করে দেন। গত বিশ বছর পৌরসভার লোকনাথ গ্রামে অবস্থিত ভাইদের বাড়ির বারান্দায় দুই মেয়েকে নিয়ে কাটিয়েছেন। থানায় স্টাফদের খাবার রান্না করে প্রাপ্ত সাড়ে তিন হাজার টাকায় কোনোমতে সংসার চলতো।

এক প্রতিক্রিয়ায় জামিরন বেগম বলেন, ‘ঘর ছিল না। মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। এখন থাকার ভালো ব্যবস্থা হইছে। ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি হইছি।গৃহহীনদের জন্য নির্মিত গৃহ হস্তান্তরের লক্ষে রবিবার বোয়ালমারী থানায় আয়োজিত এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম, এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা খালেদুর রহমান, বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, চতুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও চতুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, বোয়ালমারি প্রেসক্লাবের সভাপতি রিজাউল হক, সাংবাদিক এ্যাড. কোরবান আলী, কাজী হাসান ফিরোজ, ঘোষপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: ইমরান হোসেন নবাব, বোয়ালমারী পৌর কাউন্সিল আ: মান্নান মোল্যা প্রমুখ।উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রতিটি থানায় স্থাপিত নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক চালু হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি ফরিদপুর জেলায় মোট ৬ হাজার ২৫৩ জন সেবা প্রত্যাশীদের সেবা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে বোয়ালমারী থানায় স্থাপিত নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক থেকে ১৫০ জন সেবা প্রত্যাশীদের সেবা প্রদান করা হয়।